মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় দিঘীতে। অভিযুক্ত আসামিকে আটকের পর রিমান্ডে নিলে বেড়িয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নিখোঁজ শিশু ফাতেমা আক্তারের মরদেহ উপজেলার রশুনিয়া গ্রামের নূরানী মাদ্রাসার পাশের দিঘী থেকে উদ্ধার হয়। এদিকে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে অভিযুক্ত আসামির বাড়িঘরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে খালার সাথে বাড়ির পাশের রশুনিয়া নূরানীয়া মোহাম্মদীয়া মাদ্রাসার ১২তম ওয়াজ মাহফিলে যায় ফাতেমা। পরে সেখানে থাকবে বলে বায়না ধরলে তার খালা মাদ্রাসা পড়ুয়া ফাতেমার বড় ভাই ইসমাইলের কাছে তাকে রেখে আসে। কিন্তু ইসমাইল তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে ফাতেমা খেলতে খেলতে রাস্তার দিকে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
স্থানীয়রা ওয়াজ-মাহফিলের আইসক্রিম বিক্রেতা সাব্বির খানকে (২৫) সন্দেহভাজন হিসাবে আটক করে পুলিশে দেয়। এ ঘটনার পরদিন ফাতেমার মা বিলকিস বেগম বাদী হয়ে সাব্বিরকে প্রধান অভিযুক্ত করে সিরাজদিখান থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সাব্বিরকে আদালতে প্রেরণ করে ২ দিনের রিমান্ডে আনলে জানায়, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গুম করতে সেটি দিঘীতে ফেলে দেয় সে। পরে তারই দেখানো দিঘী থেকে মরদেহ উদ্ধার হয়।
সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহেদ আল মামুন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর হবে।