
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর আহসান উল্যাহকে (৫৫) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (১৬ মার্চ) বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, গত সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেয়ে শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার আহসান উল্যাহ একই ওয়ার্ডের মৃত আলী আহামদের ছেলে।
ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী দুবাই প্রবাসী। তিনি তার এক সন্তান নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করতেন। শ্বশুর আহসান উল্যাহ বিভিন্ন সময় পুত্রবধূকে কুরুচিপূর্ণ কথাসহ খারাপ কাজের ইঙ্গিত দেয়। ভুক্তভোগী বিষয়টি স্বামী, শাশুড়িকে জানালেও তারা বিষয়টি কর্ণপাত করেনি। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে ভুক্তভোগী প্রতিদিনের ন্যায় নিজের কক্ষে কন্যা সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সেহেরি খাওয়ার পূর্বে শ্বশুর কৌশলে পুত্রবধূর কক্ষে প্রবেশ করে। ওই সময় তিনি পুত্রবধূকে ঘুমন্ত অবস্থায় জোরপূর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী চিৎকার করতে গেলে শ্বশুর তার মুখ চেপে ধরে, ধর্ষণ করে দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বিষয়টি তার স্বামী-শাশুড়িকে জানায় এবং নিজেই বাদী হয়ে এ ঘটনায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূর দায়ের করা মামলায় শ্বশুরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শ্বশুরকে কারাগারে পাঠান। এছাড়াও ওই গৃহবধূকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।