
বাগেরহাটের রামপালে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ঘের দখল, মারধর ও চাঁদাবাজীর অভিযাগ উঠেছে সাবেক ছাত্রদল নেতা মো: মাইনুল ইসলাম হীরকের বিরুদ্ধে। হীরক ও তার লোকজনের চাঁদার দাবি এবং মারধরের ভয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছেন অনেকে।
বুধবার (০৫ মার্চ) বিকেলে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। অভিযুক্ত মো: মাইনুল ইসলাম হীরক রামপাল উপজেলার ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের কালিকা বাড়ী এলাকার তৈয়াবুর রহমান হাওলাদার ছেলে। তিনি ভোজপাতিয়া ইউনিয়ন
ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে রামপাল উপজেলার ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: আলা আমিন শরীফ বলেন, মাইনুল ইসলাম হীরক নামের বিএনপির নেতাদের নাম ভাঙিয়ে ভোজপাতিয়া, কালিকাবাড়ী ও আসপাশের এলাকার নিরহ মানুষের ঘের দখল, জমি দখল, দোকান পাট লুট, মারধর ও চাঁদাবাজী করে আসছে। তার অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ট। মাইনুল ইসলাম হীরক ও তার লোকজন চাঁদার দাবিতে ডাকুয়া বাড়ীর ব্রীজের কাজে বাধা প্রদান করেছে। রাসেল শরীফের ৬ বিঘা মৎস্য ঘেরের মাছ লুট করেছে।
ফেরদাউস শরীফের ট্রলার ও ট্রলারে থাকা পোনা মাছ লুটপাট করেছে। কবির হাওলাদারের ১১ বিঘার ঘের লুটপাট করেছে এবং দখল করে নিয়েছে।লোকমানের ১৩ বিঘার ঘের মাছসহ দখল করেছে। নজরুল শরীফের ২ বিঘা, মাসুদ মাঝির ৯ বিঘা, রাকিব গাজীর ১৭ বিঘার ঘের মাছসহ দখল ও লুটপাট করেছে হীরক ও তার লোকজন। ডাকরা এলাকার আল আমিনের ৪০ বিঘার ঘের দখল করে, তার কাছে চাঁদা দাবী করেছে।
এছাড়া শামীম তালুকদারের ৬০ বিঘা, আলমগীর মাঝির ৫২ বিঘা, জুয়েল মাঝির ৮বিঘা, রুহুল তালুকদারের ৪ বিঘার মাছের ঘের জোরপূর্বক দখল করেছে। তার এসব দখল বাজিতে সাবেক যুবদল নেতা জাহিদুল ইসলাম সহযোগিতা করেন বলে দাবি সংবাদ সম্মেলনকারীদের।
সরকারি খালের জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে হীরকের বিরুদ্ধে।ডাকুয়া বাড়ীর সামনে সরকারী খাল ও মাঝি বাড়ী সংলগ্ন ৪০ বিঘা খাল দখল করেছে হীরক। মাসুদ, রাসেলসহ অন্তত ২০জনকে মারধরেরও অভিযোগ রয়েছে হীরকের বিরুদ্ধে। সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল শরীফ, আল আমিন আকন, মাসুদ, রাসেল শরীফসহ রামপাল এলাকার প্রায় ২০ জন ক্ষতিগ্রস্থ বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো: মাইনুল ইসলাম হীরক বলেন, মূলত এলাকায় ভাল কাজ করার কারণে আমার বিরুদ্ধে কিছু লোক অভিযোগ করেছে। আমি কারও ঘের দখল করিনি। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বরং কবির ও আল আমিন এলাকার মানুষের উপর অত্যাচার করছে।