বাগেরহাটে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর জালিয়াতি, বেতন-ভাতা আত্মসাতসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ে অভিয়ান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৫ মার্চ ) দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার বারাকপুর এলাকায় অবস্থিত যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।
দুদকের বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। চার ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে বেশকিছু অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘‘অভিযানে বেশ কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। প্রশিক্ষণার্থীদের দেওয়া ভাতা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছি। অনেক প্রশিক্ষণার্থী জানিয়েছেন, তারা নির্ধারিত ভাতার থেকে কম পেয়েছেন। প্রশিক্ষকদেরও নির্ধারিত ভাতার থেকে কম দেওয়া হয় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।’’
তিনি জানান, এখানে ড্রাইভিং কোর্স চালুর জন্য যে গাড়ি ব্যবহার করা হয়, সেই গাড়ির অটোমিটার নেই। এক লিটার তেলে দুই কিলোমিটার গাড়ি চালানো হয়েছে বলে লগ বইতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া গাড়ি চালনার লগ বইতে নানা অসঙ্গতি রয়েছে।
তিনি আরো জানান, এসবের পাশাপাশি মেশিন ও মালামাল কেনার ক্ষেত্রেও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিন কেনা হয়েছে। যার দাম দেখানো হয়েছে দুই লাখ টাকা। কিন্তু এর দাম এক লাখ টাকা। এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
অভিযানে প্রাপ্ত কাগজপত্র ও তথ্য-প্রমাণ পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখানের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান।
অভিযানের সময় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বাগেরহাটের উপপরিচালক আব্দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।