জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ সময় প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার তিওরকুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম ফেরদৌসি বেগম (৫০)। তাঁর স্বামী আবদুল জব্বারও হামলায় আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম আওয়ামী লীগের সমর্থক। প্রতিবেশী মামুনুর রশিদসহ কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। তাঁরা বিএনপির কর্মী-সমর্থক। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর তাঁরা কয়েক দফা বিরোধপূর্ণ জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে কয়েক দফা মারামারির ঘটনাও ঘটে।
এর জের ধরে আজ শনিবার সকালে মামুনুর তাঁর লোকজন নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুলের বাড়িতে হামলা করেন। রিয়াজুল ওই সময় বাড়িতে ছিলেন না। দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রিয়াজুলের বাড়িতে হামলা হলে প্রতিবেশীরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মারা যান ফেরদৌসি বেগম।
নিহত নারী রিয়াজুলের প্রতিবেশী। রিয়াজুল তাঁকে ফুফু ডাকেন। সংঘর্ষে ফেরদৌসির স্বামী আবদুল জব্বারসহ ১০ জনের মতো আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে জিন্নাত আলী নামের এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা থানার সামনে এসে বিক্ষোভ করেছেন।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুরুল হোদা জানান, হামলায় ফেরদৌসি বেগম গুরুত্বর আহত হলে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হবে। আর ময়নাতদন্তের জন্য ওই নারীর মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, তা যাচাই–বাছাই চলছে।