নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট।
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপি’র ভোটার আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নাম থাকায় নেতা কর্মীর মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটিতে থাকা এক নেতা বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচনও করেছেন। এ ঘটনায় সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ক্ষুব্ধ বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মল্লিকেরবেড় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আলিম হাওলাদার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, বিএনপি নেতা জাহিদুর রহমান টুটুল, হালিম হাওলাদার, সিরাজুল ইসলাম, যুবদল নেতা সাইফুল ইসলামসহ শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মল্লিকেরবেড় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সংগ্রহ সার্চ কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বলেন, ৫ আগস্টের পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা বিএনপির কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করি। সদস্য সংগ্রহ, ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়। বিএনপির কিছু কর্মীবিহীন নেতা তাদের পদ টিকিয়ে রাখার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভোটার করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে, পুনরায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। সেখানেও কৌশলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভোটার করা হয়। ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সভাপতি প্রার্থী শহিদ শেখ, ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ রফিকুল ইসলাম যিনি আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সদস্য ছিলেন। যার কারণে এই ওয়ার্ডের ভোট স্থগিত করা হয়।
সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ রফিকুল ইসলাম বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় সম্মানিত অতিথি কার্ড এর ছব।
এছাড়াও ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভোটার করা হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ওয়ার্ড কমিটির নির্বাচনে তারা ভোটও দিয়েছেন। এই অনৈতিক কাজের নিন্দা জানাই। ওয়ার্ড কমিটির নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান এই নেতা।
এর আগেও, জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতারা একই ধরণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন,য়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা বিএনপির কমিটিতে যদি কোনভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থক বা কোন নেতা ভুলবসতও স্থান পায়, আর যদি তা প্রমানিত হয়। তাহলে যখনই জানা যাবে তখনই তাকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।