যশোরের ঝিকরগাছায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদকসহ চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ মার্চ) বিকেলে ঝিকরগাছার গদখালি ইউনিয়নের পটুয়াপাড়া গ্রামের একটি লিচুবাগানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে উদ্ধার করে। পরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সন্ধ্যায় অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঝিকরগাছার গদখালি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন বাপ্পী, দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, জাবেদ হোসেন ও আমিনুর রহমান। ভিকটিম তরুণী বর্তমান ঝিকরগাছা থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের এক তরুণী (১৯) বেনাপোলে খালাবাড়ি থেকে ফেরার পথে গদখালী বাজারে নামেন। এরপর গদখালী বাজারের ফুলের দোকানদার আমিনুর রহমানের দোকানে গেলে ৪ বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই সূত্রে ওই তরুণীকে গদখালী এলাকায় ফুলবাগান দেখাতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে পটুয়াপাড়া গ্রামের জাবেদ হোসেনদের লিচুবাগনে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর ওই চার যুবক ওই তরুণীকে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে। এরপর সন্ধ্যায় অভিযুক্ত চার যুবককে আটক করা হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর ই আলম সিদ্দিকী, নাভারণ (সার্কেল) এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, ওই তরুণীকে ভুল বুঝিয়ে পটুয়াপাড়া গ্রামে আসামি জাবেদ হোসেনের লিচু বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তারা ওই তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। মেয়েটি ফোনে ঝিকরগাছা থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত চার জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম রানা জানান, ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় ছাত্রদলের দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে কোনো অপরাধীর ঠাঁই নাই।