ঢাকাশনিবার, ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধ নয়, নিশ্চিহ্ন করতে হবে: যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা, আসিফ মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক,
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫ ৬:৩৯ অপরাহ্ণ
শেয়ার:
Link Copied!

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন তিনি।

নিজের ফেসবুক আইডিতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লেখেন, ‘আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধ নয়, রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। এটাই আমার ব্যক্তিগত অবস্থান। এখন সেটা করার প্রসেস (প্রক্রিয়া) কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে এমন নজির আছে।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আরও লেখেন, ‘আমার চোখের সামনে ওদের (আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী) গুলিতে ভাইদের শহীদ হতে দেখেছি। গুমের শিকার হয়েছি, মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছি।

নিজের গতকাল মঙ্গলবার দেওয়া এক বক্তব্যের জের ধরে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পুনর্বাসনের চিন্তাও আসা অসম্ভব। বিস্তারিত না বলায় আমিও ঠিকভাবে বোঝাতে পারিনি। কিছু কিছু মিডিয়াতেও বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়নি। বিচারের পূর্বে এই প্রশ্নই অবান্তর।

‘তবে এই প্রশ্নের একটা স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে হবে, তা যদি না হয় তবে আজ বা কাল আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে। আওয়ামী লীগ, জামায়াতকে (বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি) নিষিদ্ধ করেছিল, তাতে কি জামাতের রাজনীতি করা আটকাতে পেরেছে? এটা যদি ইন্টিগ্রেটেড প্রসেসের মধ্য দিয়ে না হয় তাহলে সম্ভব হবে কি না প্রশ্ন থেকে যায়।

১৬ বছরে সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত না হয়েও আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীর সংখ্যা অনেক।’ যোগ করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
ফেসবুক পোস্টে আসিফ মাহমুদ আরও লেখেন, ‘অনেকেই বলছেন অন্যায় না করলে ক্ষমা চাইবে কেন? অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে যেকোনো ফরম্যাটে জড়িত থাকার কারণে, ফ্যাসিস্ট অ্যানাবলার কিংবা সুবিধাভোগী হিসেবেই ক্ষমা চাইতে হবে।

এবং এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে স্বচ্ছ, উন্মুক্তভাবে এবং ধাপে ধাপে। নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে লিগ্যালি (আইনি) এবং সোশ্যালি অর্থাৎ সামাজিকভাবে (ট্রুথ কমিশন কিংবা বিশ্বের যেসব স্থানে এমন নজির আছে তাদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে) আওয়ামী লীগকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ থেকে নির্মূল করতে হবে।’

প্রসঙ্গত, রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সঙ্গে মতবিনিময় শেষে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতা-কর্মী পলাতক। তবে কেউ যদি কোনো অন্যায় না করে থাকে, ক্ষমা চেয়ে স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে তাঁদের বাধা দেওয়া হবে না। তবে গণহত্যায় জড়িতরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টার এই মন্তব্য আলোচনা–সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।